জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না



জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।

                                                জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না

এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।

জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার ব্যায়াম

জরায়ু নিচে নেমে আসা নানা ধরনের কারণ থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে জরায়ুর মুখ ধীরে ধীরে নেমে আসে নিচের দিকে। আবার প্রস্রাব আটকে রাখলেও তলপেটে একবারের নিচের দিকে জরায়ু নেমে আসে। তাই এ সময় ব্যায়াম করা উচিত। জরায়ুর নিচে নেমে যাওয়ার ফলে আপনি যদি দেন শুরু করেন তার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত হবে আপনার।

জরায়ু নিচে নামে যাওয়ার কিছু সাধারন ব্যায়াম এর মধ্যে রয়েছে যে ব্যায়ামগুলো সেগুলো হলো

* হালকা স্ট্রেচিং : পিঠ এবং পায়ের জন্য হালকা করে আপনি এই স্ট্রেচিং ব্যায়াম টি করতে পারেন এতে আপনার পেশিগুলোর নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করে থাকবে।

*যোগব্যায়াম : এ সময় যোগ ব্যায়াম করলে জরায়ু ঠিক থাকে ও শিশুর আসন কার্যকর হতে সাহায্য করে থাকে।

*বসা এবং উঠা :আপনি এ ব্যায়াম টি স্থির অবস্থায় থেকে ধীরে ধীরে ওঠা বসার মাধ্যমে এই ব্যায়াম টি করতে পারবেন। এতে আপনার কোন অসুবিধা হবে না।

*কেগেল এক্সারসাইজ: পেশিগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য এ ব্যায়াম টি করা হয় । পেশিগুলোকে সংকোচন করুন, ৫-১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং পরে ছেড়ে দিন। এটি ১০-১৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন।এভাবে এই ব্যায়ামটি করলে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় আসে। ট

*পিলেটস: পিলেটস শরীরের কেন্দ্র শক্তিশালী করে, যা জরায়ুর সঠিক অবস্থান ধরে রাখতে সহায়তা করতে সাহায্য করে।

জরায়ু নিচে নেমে গেলে অন্যান্য যে কাজগুলো করবেন ব্যায়ামের পাশাপাশি সেগুলো হল

*সঠিক ওজন বজায় রাখা :শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখা উচিত। কারণ অতিরিক্ত ওজন জরায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে থাকে।

*হেলদি লাইফ স্টাইল :এ সময় স্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার জরায়ুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে।

তাই প্রতিদিন কিছু সময় ধরে এ ব্যায়ামগুলো করা উচিত। যদি দেখা যায় সমস্যাগুলো গুরুতর অবস্থায় গেছে তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

জরায়ু নিচে নেমে গেলে হোমিও চিকিৎসা

জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কিছু হোমিও চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে হোমিও কিছু ওষুধের নাম। এই সমস্যা ভালো করতে এই ওষুধগুলো সহায়তা করে থাকে।যেমন

*সিমিসিফুগা : মাসিকের সময় বা গর্ভাবস্থায় সময় জরায়ু যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে এই ওষুধটি সাহায্য করে থাকে।

*প্ল্যান্টাগো: জরায়ুর অবস্থান স্বাভাবিক করতে সাহায্য করতে পারে এই ওষুধটি।

* ক্রিপটোপ্পিয়াম: যদি রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই দুর্বল হয় ও স্নায়বিক অস্থিরতা দেখা যায় তাহলে এই ওষুধটি খেলে সাহায্য করে থাকে।

চিকিৎসার পদ্ধতি কিভাবে অনুসরণ করবেন তা নিচে দেওয়া হল

*দৈনিক পরামর্শ ডাক্তারের : একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করে ওষুধ সেবন করা উচিত।আপনার সমস্যার উপর নির্ভর করে ডাক্তাররা আপনাকে ওষুধ সাজেস্ট করবেন। তাই এ সময় অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তার দেখানো উচিত।

সতর্কতা :হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চলাকালীন যদি কোন রকম সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এজন্য এ সময় রোগীকে সবসময় খেয়াল করা উচিত যে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। সমস্যা গুরুতর হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসার কে দেখানো প্রয়োজন।

জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না

জরায়ু নিচে নেমে গেলে বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু দেখা যায় যে বেশিরভাগ সময় এই সমস্যা গুরুতর অবস্থায় যায় না। যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এ সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। এই সমস্যাটি যদি বাচ্চা পেটে থাকার সময় হয় তাহলে যৌনাঙ্গের চাপ বেশি সৃষ্টি হয়। তাই এই সময় সাধারণত গর্ভাবস্থা দ্রুত ঘটতে পারে।

এই সমস্যাটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন :

*হরমোনের পরিবর্তন : গর্ভাবস্থায় চলাকালীন যদি হরমোনের পরিবর্তন হয় তাহলে জরায়ুর অবস্থান তখন পরিবর্তনে প্রভাবিত করতে পারে।

*শারীরিক পরিবর্তন : গর্ভাবস্থার সময় জরায়ুর আকার আকৃতি নানা রকম পরিবর্তন হয় তাই এ সময় জরায় নেমে আসতে পারে।

*সুস্থতা সমস্যা :অনেক সময় শরীরের দুর্বলতা ও অসুস্থতার জন্য জরায় পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যায়। আবার দেখা যায় জরায়ু ত অতিরিক্ত চাপ পড়ে তখন জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে।

তাই বলা হয় এই সমস্যাগুলো গর্ভাবস্থায় কোন সমস্যা কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। তবে যদি এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে যেমন প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

শেষ কথা:জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না

পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় না সম্পর্কে জানতে পারলেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url