বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য - বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য
বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য - বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য - বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য - বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য - বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য |
এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য - বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।
বেদে সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য class 7
মানুষ সামাজিক জীব। তাই কখনো একা বসবাস করতে পারে না। মানুষের জীবনের নানা ধরনের চাহিদা রয়েছে। এমন চাহিদা কোন নির্দিষ্ট একজনের বা একটি সম্প্রদায়ের পক্ষে মেটানো সম্ভব হয় না। তাই এ সকল চাহিদা মেটাতে গিয়ে একে অন্যের সাথে মিলেমিশে বসবাস করতে হয়। তবে সমাজে বসবাসরত মানুষের মধ্যে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। তেমনি বেদের সম্প্রদায়ের ও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক বেদের সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য কি কি।
1.বেদের সম্প্রদায়ের মানুষেরা নৌকায় বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস করে।
২.বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েরা আই রোজগারমূলক কাজ করে থাকে।
৩.বেদে সম্প্রদায়ের ছেলেরা রান্নাবান্না বাচ্চা সামলানো আর ঘরের কাজের দায়িত্ব পালন করে থাকে।
৪.তাদের নিজস্ব ভাষা বা ঠার রয়েছে।
৫.বেদে সম্প্রদায়ের সকলে তন্ত্র-মন্ত্র যাদু টোনা জানে।
৬.বেদে সম্প্রদায়ের সকলে সাপের সাথে খেলার
সার্কাস খেলা সুগন্ধি মসলা বিক্রি মেয়েদের সাজগোজের জিনিস বিক্রি জাদু দেখানো বানরের খেলা টিয়া পাখি দিয়ে মানুষের ভাগ্য গণনায় ইত্যাদি কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
৭.তাদের মধ্যে কারোর সাথে কারোর বিরুদ্ধে দেখা দিলে বেদে সম্প্রদায়ের সরদার তা মীমাংসা করে দেন।
৮.বেদের সম্প্রদায়ের সকলে একে অপরের সাথে মিলেমিশে সুখে দুখে একসাথে বসবাস করে থাকে।
৯.বেদেদের বিয়েতে খাওয়া-দাওয়া উপহার দেওয়া নেওয়া এসব নেই।
১০.আমাদের দেশের অধিকাংশ বদে মুসলমান তাই তাদের সকলের বিয়ে মুসলিম রীতিতে হয়ে থাকে।
১১.বেদে সম্প্রদায়ের কারো বিয়ে হলে সবাই একসাথে মিলে নাচ গান করে থাকে।
১২.বেদে সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা তাদের মধ্য থেকে গণ্যমান্য ব্যক্তিকে তারা সরদার বা দলপতি বানিয়ে থাকে।
১৩.বেদে সম্প্রদায়ের সকলে তাদের সর্দার বা দলপতির আদেশ নিষেধ মেনে চলে।
বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য
মানুষ সামাজিক জীব। তাই কোন মানুষ একা বসবাস করতে পারে না। সামাজিক জীব এই মানুষগুলোকে নিয়ে একটি সম্প্রদায় গঠিত হয়। একটি সম্প্রদায় হলো একটি সামাজিক একক। চলুন জেনে নেওয়া যাক বেদের সম্প্রদায়ের দশটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
১.বেদে সম্প্রদায়ের স্ত্রীলিঙ্গ বেদেনী বা মানতা নামে অপরিচিত। এই সম্প্রদায়টি বাংলাদেশের একটি যাযাবর ইন্দ্রো আর্য জনগোষ্ঠী।
২.বেদেরা ঐতিহ্যগতভাবে নদীর কিনারে বসবাস করে। তারা ভ্রমণ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বেদের সম্প্রদায়কে নদী যাযাবর বা জল যাযবর বলা হয়ে থাকে।
৩.বাংলাদেশের প্রায় ৮ লক্ষ বেদে রয়েছে। তারা দলবদ্ধ হয়ে ভ্রমণ করে এবং কখনো এক জায়গায় কয়েক মাসের বেশি বসবাস করে না। বেদেরা একটি প্রান্তিক গোষ্ঠী।
৪.বেদে সম্প্রদায়দেরকে ইউরোপীয় যাযাবরদের অনুরূপ বলে মনে করা হয়।
৫.বেদে সম্প্রদায়ের অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গ সাপ সম্পর্কিত ব্যবসায়ী এসব করে জীবন যাপন করে থাকে।
৬.বেদেরা ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ভোট অধিকার অর্জন করে থাকেন। এছাড়াও বেদের সম্প্রদায়ের অধিকাংশ ব্যক্তি যাদু বিদ্যায় পারদর্শী।
৭.বেদের সম্প্রদায়ের যদি কারো বিয়ে হয় তাহলে সকলে একত্রিত হয়ে গান-বাজনা করে থাকেন।
৮.বেদে সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্যমান্য মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিকে দলনেতা বা সরদার করেন।
৯.বেদের সম্প্রদায়দের ব্যক্তিদের মধ্যে যদি কারো সাথে কারো দ্বন্দ্ব হয় তাহলে তাদের দলনেতা বা সরদার তা মীমাংসা করে দেন।
১০.বেদের সম্প্রদায়ের প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য হলো মেয়েরা বাইরের কাজকর্ম করে ইনকাম করেন। আর বেদের সম্প্রদায়ের ছেলেরা ঘরের সকল কাজকর্ম বাচ্চা সামলানো এসব করে থাকে।
বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য
সম্প্রদায় হচ্ছে একটি যাযাবর গোষ্ঠী।এই বেদে সম্প্রদায় এক জায়গায় কয়েক মাসের বেশি বসবাস করে না। তারা এক এলাকা থেকে আর এক এলাকায় ঘুরে ঘুরে বেড়াতে বেশি পছন্দ করেন। বেদের সম্প্রদায় একে অপরের সাথে মিলেমিশে বসবাস করে থাকেন।চলুন জেনে নেওয়া যাক বেদে সম্প্রদায়ের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
১.বেদে সম্প্রদায় এক জায়গায় থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। তারা যা যবর গুষ্টির মত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বেড়াতে বেশি পছন্দ করেন। তারা তাবু টেনে বসবাস করেন।
২.বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা একে অপরের সাথে নিজেদের ভাষায় কথা বলেন। তাদের নিজস্ব একটি ভাষা রয়েছে তার নাম হচ্ছে ঠার বা ঠের নামে পরিচিত।
৩.বেদের সম্প্রদায়ের ব্যক্তি বর্গরা প্রায় সকলেই যাদুবিদ্যায় খুবই পারদর্শী।
৪.বেদে সম্প্রদায়ের অধিকাংশ সাপ সম্পর্কিত ব্যবসায় জীবন যাপন করে।যেমন সাপ খেলা সাপ ধরা সাপ বিক্রি ইত্যাদি।
৫. বেদে সম্প্রদায়ের অধিকাংশ বেদের কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এবং তারা চিকিৎসা সুবিধা ব্যবহার করে না।
চাকমা সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য class 7
চাকমা সম্প্রদায়কে চাঙমা সম্প্রদায় নামেও পরিচিত। চাকমা সম্প্রদায় হলো ভারতীয় উপমহাদেশ এবং পশ্চিম মায়ানমারের পূর্ব অধিকাংশ অঞ্চলের একটি জাতি গোষ্ঠী। তারা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী এবং ভারতের মিজোরামের চাকমা সাহিত্য শাসিত জেলা পরিষদের বৃহত্তম। যোগ্য চাকমা জনসংখ্যা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য অরুনাচল প্রদেশ ত্রিপুরা এবং আসামে কিছু রয়েছে।
১.বিজু চাকমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ধর্মীয় উৎসব। উৎসবটি তিন দিন ধরে চলে এবং চৈত্র মাসের শেষ দিনের শুরু হয়। প্রথম দিনটিকে ফুল বিজু নামে পরিচিত।
২.চাকমা সম্প্রদায়ের অধিকাংশ এবং প্রধানত থেরবাদ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।
৩.চাকমা সম্প্রদায়ের অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমতল অংশের স্বাভাবিক সেচ পদ্ধতিতে মৌসুমী কৃষিকাজ এবং পাহাড়ি অঞ্চলের জুম চাষের মাধ্যমে চাকমা জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন খাদ্যশস্য ও রবি শস্য উৎপাদন করে থাকেন।
৪.চাকমাদের ভাষার নামও আচিক।চাকমাদের নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। চাকমারা ৪৬ টি গোজা এবং বিভিন্ন গুতি বা গোষ্ঠীতে বিভক্ত।
৫.চাকমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির লোকসাহিত্য ঐতিহ্য রয়েছে। চাকমা মেয়েরা কোমর জড়ানো গোড়ালি পর্যন্ত পোশাক পরে যাকে পিনন বলা হয়।
৬.পুরুষেরা সিলুম নামক গায়ের জামা এবং টেনে হানি নামক জামা পরিধান করে।
৭.চাকমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। তারা ভাতের সাথে মাছ মাংস এবং শাকসবজি খেতে ভালোবাসে। তাদের প্রিয় খাদ্য বাশঁ কুড়োল। বাশঁ কোড়ল দিয়ে চাকমা মেয়েরা বেশ কয়েক ধরনের রান্না ও ভাজি করে।
৮.চাকমারা বৌদ্ধ ধর্ম বলি। তাদের অধিকাংশ গ্রামে কিয়াং বা বৌদ্ধমন্দির রয়েছে। চাকমারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিনকে ভর্তি সহকারে পালন করে। তারা গৌতম বুদ্ধের জন্ম মৃত্যু বিশেষভাবে পালন করে থাকে যা বৈশাখী পূর্ণিমা নামে পরিচিত।
৯.চাকমা সম্প্রদায় পিতৃতান্ত্রিক সমাজ। তারা পিতাদের পরিচয় বহন করে।
১০.চাকমা সমাজে মূল অংশ পরিবার কয়েকটি চাকমা পরিবার নিয়ে গঠিত হয় আদাম বা পাড়া। আর কয়েকটি পাড়া নিয়ে গঠিত হয় মৌজা।পাড়ার প্রধান কে বলা হয় হেড ম্যান। হেডমান মজার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করেন।
উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো হল চাকমা সম্প্রদায়ের। চাকমাদের জীবন যাপন খুবই শান্তিপূর্ণ। তাদের জীবন যাপন খুবই সরলতার ভিতর দিয়ে পার করেন।
শেষ কথা : বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য - বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য - বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না বেদে সম্প্রদায়ের ১০ টি বৈশিষ্ট্য - বেদে সম্প্রদায়ের ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারলেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url