শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য |
এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য করে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।
শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতেঃ
1. Shaheed minar is the symbol of our love sincere interest and supreme sacrifice for our language.
2. It is located in front of Dhaka medical college.
3. Hamidur Rahman a famous architect designed this significant monument.
4. The vertical lines and columns suggest the loftiness and grandeur of the people martyred for the cause of language.
5. It contains all the expressions of Bengali identity and nationalism.
6. We f eel the supreme Sacrifice of the language martyrs and we should preserve the Highness,supremacy of this mother language at any cost.
7. It represents our Victoria history of fight ,sacrifice and gains.
8. It has become a part of our political as well as cultural achievements and national source of inspiration.
9. It refresh our motivation to keep our language clean and safe from the attacks of other language and cultures.
10. It inspires us to maintain our national brotherhood and cultural cohesiveness.
শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য
১। শহীদ মিনার বাংলাদেশের একটি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ।
২। ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছিল।
৩। প্রথম শহীদ মিনারটি ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঘটনার পর পরই নির্মাণ করা হয়েছিল কিন্তু পাকিস্তানি পুলিশ ও সেনাবাহিনী কয়েকদিনের মধ্যে এটি ভেঙে ফেলে।
৪। রফিক বরকত জব্বার ও নিরীহ ছাত্রদের নির্মমভাবে হত্যা করা বিভিন্ন ছাত্রদের স্মরণে তৈরি করা হয় শহীদ মিনার।
৫। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উদযাপন করা হয় শহীদ মিনারে সকলে ফুল নিয়ে আসে তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে।
শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
১। মিনার ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে নির্মিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ।
২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে অবস্থিত।
৩। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের তাদের স্মরণে শহীদ মিনারের ভিত্তি স্থাপন করা হয়।
৪। ১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে।
৫। শহীদ মিনার একটি ৪৬ ফটো উঁচু স্তম্ভ যার যার পাশে সাতটি ছোট স্তম্ভ রয়েছে।
৬। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে বাঙালিরা শহীদ মিনারে জড় হয় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে।
৭। এ নকশা করেছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত স্থপতি হামিদুর রহমান।
৮। এটি ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
৯। শহীদ মিনারকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত করা হয়।
১০। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।
শহীদ মিনারের স্তম্ভ কয়টি
উপমহাদেশের বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে শহীদ মিনার বলতে ছাড়া বাংলা ভাষা আন্দোলনের শহীদ হয়েছে তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে যা নির্মাণ করা হয়েছে সেই স্থাপনা গুলোকে বোঝানো হয়। ভাষা আন্দোলনের এই শহীদ মিনার মূলত ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কাঠামোতে নির্মাণ করা হয়।
প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ রাজশাহী নামে খ্যাত স্তম্ভটি ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজশাহী কলেজ মুসলিম হোস্টেলের এফ ব্লকের সামনে ইট পাতা দিয়ে নির্মাণ করা হয়। এই স্মৃতিস্তম্ভটি বাইশে ফেব্রুয়ারি পুলিশ প্রশাসন দ্বারা ভেঙে ফেলা হয়। ২৩ শে ফেব্রুয়ারি রাতে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীরা ঢাকা থেকে প্রথমবারের মতো শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। একটি কাগজের উপর শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ শব্দ দুটি লিখে এতে গেঁথে দেওয়া হয়েছিল।আন্দোলনে নিহত শফিউর রহমানের পিতা এই শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন। তবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কৃত এই শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হয়। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ ও শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছিল সেটিও সরকারের আদেশে ভেঙে ফেলা হয়।
এরপরে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর 1957 সালে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার শুরু করা হয়। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এই সময় শহীদ আর তোর বরকতের মা হাসিনা বেগমকে দিয়ে এই শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়।
শহীদ মিনার পাঁচটি স্তম্ব তারা নির্মিত হবে মাঝের স্তম্ভ টি কিছুটা বড় হবে এবং এই স্তম্ভটি সামনের দিকে হেলানো থাকবে। এবং স্তম্ভ গুলোর মাঝ বরাবর একটি লাল রঙের কাপড় দিয়ে বৃত্ত তৈরি থাকবে যা গোল আকৃতির লাল সূর্যকে নির্দেশ করবে। চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমানকে বর্তমান শহীদ মিনারের কাঠামোর প্রবর্তক বা স্থপতি বলা হয়। হামিদুর রহমানের নির্দেশনা অনুসারে নভেরা আহমেদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একটি নির্মাণ করা হয়েছে।
শহীদ মিনার সম্পর্কে বর্ণনা
দেশভাগের পর 1947 সালের পাঁচই ডিসেম্বর ঢাকায় বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সর্বশেষ বৈঠকে মাওলানা আকরাম খানসহ সব নেতা সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোগে রাষ্ট্রভাষা করা হবে না। সে থেকে শুরু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রমাণ হয় চলতে থাকে আন্দোলন। ১১ই মার্চ ১৯৪৮ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের জন্য আমাদের জাতীয় ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে এদিনে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র সফল হরতাল বিক্ষোভ ধর্মঘট ও পিকেটিং করা হয়।
সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত অবস্থায় পিকেটিং করার অপরাধী পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জে আঘাতপ্রাপ্ত হন অনেক নেতা কর্মী সেদিন গ্রেফতার হয় বাংলার রাষ্ট্রনায়ক যাদের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, কাজের গোলাম মাহবুব, শামসুল হক, অলি আহাদ, শওকত আলি, রনেশ দাশগুপ্ত সহ অনেক নেতা কর্মী। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত দুটি ভূখণ্ডের দুটি ভিন্ন ভাষার জাতিসত্তাকে মিলে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম থেকে মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে সূচনা হয়েছিল আন্দোলনের। আরে ভাষা আন্দোলনকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ভাষার জন্য আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের যে স্থানে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন রফিক উদ্দিন, সেখানে তেইশে ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে গড়ে উঠে বাংলাদেশে প্রথম শহীদ মিনার। প্রথম শহীদ মিনারটি ছিল ১০ ফুট উঁচু আর ছয় ফুট চওড়া।
সাঈদ হায়দার লিখেছেন, ছাত্র ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি জিএস শরিফ উদ্দিনের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা ছিল, তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ আরম্ভ হয়। ঐদিনই নির্মাণের স্থানটা নির্বাচিত হয়েছিল ১২ নম্বর সেডের ছাত্র হোস্টেলের বা ব্যারাকের পাশে, ছাত্রাবাসীর নিজস্ব রাস্তার পাশে, যেখানে গলিতে নিহত হয় প্রথম ভাষা শহীদ। মাত্র একজন পারদর্শী রাজমিস্ত্রি কুশলী হাতে নকশা মোতাবেক কাজ শুরু হল, মিস্ত্রিরেশন হেলপার ছিল বটে, কিন্তু ছাত্র কর্মীরাই তো সেদিন সবচেয়ে বেশি সক্রিয় যোগালে ছিল।
২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ভাষা শহীদের শফিপুরের বাবা অনুষ্ঠানিকভাবে এই শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন আপল কালাম শামসুদ্দিন। কিন্তু সেই দিনই পুলিশ মিনার ভেঙে দেয়। পরে ঢাকা কলেজে সামনে আবার একটি শহীদ মিনার নিয়মিত হয়েছিল কিন্তু সেটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে আমরা যে শহীদ মিনার দেখছি, তার নীতি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ১৯৫৬ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। এই শহীদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান। ১৯৫৭ সালে নভেরা আহমেদ ও আল হামিদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে চূড়ান্ত নকশা তৈরি করে শুরু করা হয় শহীদ মিনারে নির্মাণ কাজ। এরপর ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ পাগল বরকতের মা হাসিনা বেগম শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন।সে থেকে এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বাঙালির জাতির কাছে উজ্জ্বল করে রেখেছে ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস।
প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই লাখো লাখো মানুষ।
শেষ কথা: শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না শহীদ মিনার সম্পর্কে ৫ টি বাক্য - শহীদ মিনার সম্পর্কে ১০ টি বাক্য সম্পর্কে জানতে পারলেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url