সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় - সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি


সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় - সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় - সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় - সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় - সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি


এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় - সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি করে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।

সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা ১০ টিঃ

বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা অনেকগুলো রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো

১। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মানসম্পন্ন হার্ডওয়ার বা সফটওয়্যার ব্যবহারে উৎসাহিত করা।

২। ইন্টারনেট নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা।

৩। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা।

৪। সব ধরনের ডিজিটাল মাধ্যমে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষা করা।

৫। ডিজিটাল অপরাধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৬। ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা।

৭। ডিজিটাল দূযোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

৮। সাইবার অপরাধ দমন এর সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োগ করা।

৯। সাইবার অপরাধ করলে তারা দৃষ্টান্ত শাস্তি দেওয়া।

১০। সাইবার অপরাধী পুলিশের যথেষ্ট ভূমিকা রাখা।

উপরিক্ত নীতিমালা গুলো মেনে চললে সাইবার নিরাপত্তার নিশ্চিত করা যাবে এবং সাইবার অপরাধ হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। এছাড়াও নিজের পরিবারের সন্তান এবং অন্যান্য সদস্যদেরকে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে যাতে তারা কখনো সাইবার অপরাধের শিকার না হয় এবং নিজেও সাইবারক্রাইব না করে।

সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায়

কর্মস্থলের কাজ বাজার সদাই খেলা কিংবা খাবার অর্ডার অনেক কিছুই এখন অনলাইন দিতে হয়ে গেছে। অনলাইনের ঘরে এসব কাজ করার জন্য বেড়ে গেছে অ্যাপ এর ব্যবহার। আবার এসব লক্ষ্য করে সাইবার অপরাধী দাও বিভিন্ন কৌশলে হ্যাকিং সাইবার হামলা বা প্রতারণা করছে। বাজার জগতের মত অনলাইন পরিসরেও এখন নিরাপদ থাকার গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিজিটাল জগতের স্বাধীনতা অবলম্বন করে চলতে হবে সব সময়। কিছু কাজ কখনোই করা যাবে না। আবার তথ্য সংরক্ষিত রাখতে কিছু কাজ অবশ্যই করতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে ১০টি উপায়ঃ

১। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার

অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার সহ নানাভাবে যন্ত্রে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। আবার অনেক সময় যন্ত্রের ক্ষতিকর প্রোগ্রামও থাকতে পারে। এগুলো ধীরে ধীরে যন্ত্রের কার্যকর ক্ষমতা কমে যায়। এমনকি হ্যাকাররা নজরদারিও করে থাকে। তাই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে নিয়মিত যন্ত্র স্ক্যান করতে হবে। বাজারে কেনা ছাড়াও কিছু কিছু অ্যান্টিভাইরাস বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।

২। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার

অনলাইনে যেকোনো ধরনের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এবং ৬০ থেকে ৯০ দিন পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।৬০বা৯০দিন পরপর পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে।অন্তত ১২টি অক্ষর দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে যাতে কখনো হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাসওয়ার্ডে সংখ্যা, বর্ণ ও বিশেষ অক্ষরে মিশ্রণ থাকতে হবে। কখনো নিজের নাম, জন্মদিন এ ধরনের তথ্য দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা যাবেনা। পাসওয়ার্ড যত জটিল হবে এটি ততই শক্তিশালী হবে।

৩। সন্দেহজনক ইমেইল ও লিংক থেকে সতর্ক থাকা

ব্যাকরণগত ফুল বানানে অসঙ্গতি সহ অপরিচিত কোন ইমেইল ঠিকানা থেকে আশা ইমেইলে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের ইমেইলে কোন লিংক যুক্ত থাকলে সেটা খোলা যাবে না। এমনকি সংযুক্ত ফাইল বা অ্যাটাচমেন্ট দেখার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।

৪। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য না দেওয়া

হ্যাকাররা এখন ব্যবহারকারীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অনলাইনে হামলা চালায়। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। জন্ম তারিখ ও ফোন নাম্বার এসব ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া ঠিক নয়। কোথাও বেড়াতে গেলে সেই সময়ে বেড়াতে যাওয়ার ছবি দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। এতে হ্যাকার আপনার অবস্থান সহজে সনাক্ত করতে পারবে।

৫। ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্কতা

ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে। ও নিরাপদ ওয়েবসাইটে কখনো ঢোকা যাবে না। সাইট খোলার আগে অবশ্যই ওয়েব ঠিকানায় এবং ইউ আর এল যাচাই করতে হবে। ইউ আর এল এ কালার চিহ্ন লক আইকন রয়েছে কিনা তা দেখে নিতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে। অবিশ্বস্ত উৎস থেকে সফটওয়্যার নামানো যাবে না। এমনকি গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর ছাড়া অ্যাপ নামানো ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে সবসময়।

৬। অ্যাপ কোন তথ্য দেখছে তা জানা

বিভিন্ন অ্যাপ কাজের জন্য স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, কন্টাক্ট ইত্যাদি হচ্ছে প্রবেশ করতে চাই। কোন অ্যাপ কোন ধরনের তথ্য দিচ্ছে তা নিয়মিত যাচাই করতে হবে। কি কি উপক্ষের তৈরি অ্যাপ এ ধরনের তথ্য প্রবেশের অনুমতি দেখতে হবে এবং সব সময় সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে।

৭। টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন

অনলাইনে নিরাপদ থাকতে পাসওয়ার্ড এর পাশাপাশি টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করতে হবে। এতে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা এবং সুরক্ষা যোগ হবে এবং অনলাইন একাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে। এছাড়া মুখাবয়ব, আগুনের ছাপ ইত্যাদি সনাক্তকরণ পদ্ধতি ও যোগ করতে হবে।

৮। ক্লাউডে সংবেদনশীল তথ্য জমা না রাখা

ক্লাউড চালু হওয়ার ফলে প্রয়োজন এবং ব্যক্তিগত তথ্য এখানে ইন্টারনেটের এই ভান্ডারে জমা রাখা হয়। তবে ক্লাউটে জমা রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে সব সময়। কারণ কোন কারনে সাইবার অপরাধীরা ক্লাউডের প্রবেশ করলে এসব তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকিতে পড়তে হবে।

৯। অনলাইনে বাড়তি তথ্য না দেওয়া

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুকতে বা বিভিন্ন অনলাইন সেবা নেওয়ার জন্য অনেক তথ্য দিতে হয়। এসব তথ্য দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রয়োজনের বাইরে বাড়তি কোন তথ্য দেওয়া যাবে না। জন্ম তারিখ ও ঠিকানা এ ধরনের ব্যস্ততা তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ যেকোনো সময় আপনার তথ্য অন্য কারো কাছে চলে যেতে পারে।

১০। ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্ক থাকা

অনলাইনে সুরক্ষিত থাকতে তারহীন ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সতর্ক থাকতে হবে। কোন ওয়াইফাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ এবং ব্যক্তিগত তথ্য বিনিময় সতর্ক থাকতে হবে। ভ্রমণের সময় যন্ত্রের ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ সংযোগ বন্ধ করে রাখাই ভালো।

সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়ঃ

সাইবার ভিতরে সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তাদের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ রাখতে সাইবার দুনিয়ার সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠান ছোট বা বড় যেমনই হোক না কেন সেখানে কর্মরত প্রত্যেক কর্মীকে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতার জন্য বাংলাদেশের অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিভ অ্যান্টিভাইরাস কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে। জেনে নেওয়া যাক এই সাইটে গুরুত্বপূর্ণ কি কি তথ্য রয়েছে

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিরাপদ রাখুন

কম্পিউটার এবং স্মার্ট ডিভাইস ছাড়া অফিসে এখন চিন্তার বাহিরে। কাজ নয় প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কম্পিউটারের ডিজিটাল ফাইল আকারে সংরক্ষিত করা হয়ে থাকে। তাই অফিসে কম্পিউটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে সাধারণত যেই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয় তা নিরাপদ রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবস্থাপক অফিসে নেটওয়ার্ক নিরাপদ কিনা, তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন বিভাগ সহ মানব সম্পদ বিভাগের তথ্য যাতে বেহাত না হয়, সেজন্য সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। এডমিন আইডিতে কেউ যেন সহজে ঢুকতে না পারে তার নিশ্চিত রাখতে হবে।

হালনাগাদ সফটওয়্যার

অনেক সময় খরচ বাচাতে ও ইন্টারনেটের গতি ঠিক ধরে রাখতে উইন্ডোজের সক্রিয় হালনাগাদ বন্ধ রাখা হয়। এবং কাজে নিরাপত্তা ধরে রাখার জন্য অফিসের প্রতিটি কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার নিয়মিত হালনাগাদ রাখতে হবে।

কর্মীদের সচেতন করা

অফিসিয়াল কম্পিউটার ও এতে সংরক্ষিত জ্ঞানের নিরাপত্তায় শুধু কৃতকর্ম নয় প্রয়োজন কর্মীদের সচেতনতাও। তাই বছরে অন্তত একবার সহকর্মীদের অংশগ্রহণে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য পাশাপাশি কম্পিউটারে জমা তথ্য মূল্য ও গুরুত্ব বোঝাতে হবে। তথ্য বেহাত হলে ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তাদের ধারণা দিতে হবে।

অননুমেয় পাসওয়ার্ড

অফিসিয়াল ডকুমেন্ট আকার প্রধান থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ব্যাকআপ চ্যাটিং ব্যাংকিং সবই এখন অনলাইন ভিত্তিক। সহজে অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকতে হবে। দীর্ঘ ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। বড় হাতের এবং ছোট হাতের উপর সংখ্যা চিহ্ন ইত্যাদি সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে এবং প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। বছরে অন্তত একবার হলেও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।

ভুয়া মেইলের লিংকে লিংক করবেন না

অনেকেই লোভনীয় অফারের উপলক্ষে ইমেইলে আসা ভুয়া লিংকে ক্লিক করে বসেন। করা থেকে দ্রুত থাকবেন।

নিরাপদ অ্যান্টিভাইরাস

সাইবার জগতে নিরাপদ থাকতে হালনাগাদ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে। বিনামূল্যের অ্যান্টিভাইরাস সব সময় নিরাপদ হয় না। তাই অফিসের পিসিতে ভালো মানুষ লাইসেন্স করা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।

সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কিঃ

আজ বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো যুদ্ধ করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে বা অন্য দেশ থেকে কিনে থাকে। কিন্তু অধর ভবিষ্যতে এটার বদলে কিনবে বা তৈরি করবে উন্নত প্রযুক্তি। কারণ বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য কোন দেশ হয়তো পারমানবিক বোমা কিনতে পারেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ কিনলো উন্নত প্রযুক্তি এটি দিয়ে শক্তিশালী হ্যাকার টিমের সাহায্যে ওই অস্ত্রের সিস্টেম হ্যাক করে তাদেরকেই ধ্বংস করা যায়।

কারণ পারমানবিক বোমা পরিচালিত হয় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির মাধ্যমে। এটি অনেকের কাছেই অবাস্তব এবং অকল্পনীয় মনে হতে পারে। তবে নিকট ভবিষ্যতেই এমন ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে গোয়েন্দাগিরির জন্য এখন শত শত কর্মকর্তার টিমের দরকার হয় না। একটি প্রযুক্তি দিয়েই বহু মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ডিজিটাল মাধ্যমে অসম্ভব বলে কোন কিছুই নেই আজ যেটা করা যাচ্ছে না সেটি কাল করা সম্ভব হচ্ছে।

প্রতিদিন নতুন নতুন প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে আর প্রত্যেকটিতে থাকছে প্রচুর পরিমাণে দুর্বলতা। কোন হ্যাকার এই প্রযুক্তিতে দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পারি তা হ্যাক করে নিচে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে অনায়াসে। অনেকেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ প্রযুক্তির কুফল এর সম্পর্কে জানেনা। তাই এ বিষয়ে কিছু না জানলেও চলবে কিন্তু বাস্তবতা হলো যিনি একটি মোবাইল ব্যবহার করছেন তিনি সাইবার জগতে একজন সক্রিয় সদস্য। যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে।

আসছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত সাইবার ক্রাইম প্রযুক্তির ছবি ও নিরাপত্তা বয়েই এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বইটি সাত সাত টাইটেলের বিন্যাস করা হয়েছে এর মধ্যে সাইবার ক্রাইম ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রধান সংকট শিরোনামের লেখায় বিশ্বকাপে সাইবার ক্রাইমের ধারণা দিয়ে একটি ব্যবস্থাপনার সংকট তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব ও অপরাধের ধারণা পত্র অধ্যায়ের আলোচনায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের শুরু এবং প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলে বাড়তি থাকা অপরাধ এবং তার ক্ষতিকর দিক। সাধারণত বাংলাদেশ ও বিশ্বে কি ধরনের সাইবার অপরাধ হয়ে থাকে তার ধারণা দেওয়া হয়েছে সাইবার ক্রাইম এর বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত অধ্যায়ে বিশ্বব্যাপী কি ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয় সে বিষয়ে বলা হয়েছে। আলোচিত সাইবার হামলা বা গোপন নথি প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে একই সঙ্গে বাংলাদেশে এখন কি ধরনের সাইবার ক্রাইম হচ্ছে সে বিষয়ে আলোচনা করা আছে।

এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে আক্রমণ ব্যক্তি ও জাতীয় নিরাপত্তায় আক্রমণ। ম্যালওয়্যার স্প্যামিং আক্রমণ। ইমেল ওয়েবসাইট ব্যবহার করে হুমকি দেওয়া। ব্যক্তির নামে মিথ্যাচার অপচয়ের জন্য হয়রানি, কারো আইডি লগইন তথ্য চুরি, ইউজার আইডি ইমেইল ও পাসওয়ার্ড চুরি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা পাইরেসি ও সিনেমার মুভি ফাইল চুরি করে ইন্টারনেটে শেয়ার করে দেয়া হয়। ইন্টারনেট থেকে কোন লেখা ও ফটোকপি সহজে কফি পেস্ট করি নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়। পর্নোগ্রাফি এবং শিশু পর্নোগ্রাফি ইত্যাদি।

অপরাধের নানা ধরনের কৌশল ও তাই দেশে-বিদেশে সংঘটিত হওয়া সাইবার ক্রাইমগুলোর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইল রাখার পরে প্রতারণা ও অন্যান্য অপরাধ কম্পিউটার ভিত্তিক অপরাধ এবং অন্যান্য টেকনোলজি ব্যবহার করে অপরাধ গুলোর পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম অর্থনীতি ক্রিমিনাল ইন্ডাস্ট্রি অফ রাত হল এই অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে সাইবার ক্রাইমের economy interest criminal রা অবৈধভাবে অপরাধ করলে এখানে প্রচুর লেনদেন হচ্ছে। এই ক্রিমিনাল ইন্ডাস্ট্রি কারা করছে অপরাধগুলো এবং কত মিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রি এটি সে বিষয়ে আলোচিত হয়েছে

সমাধানের সন্ধান ব্যক্তি সচেতনতা আইনি ব্যবস্থা দেশে দেশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা সাধারণ ও বিশেষ ব্যক্তির প্রতিনিয়ত যেসব সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে তারা আলোচনার পাশাপাশি এগুলো বিষয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাইবার ক্রাইম আইন ও কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার তুলনামূলক আলোচনা সহ দেশে বিদেশে এ বিষয়ে কি আইনি ব্যবস্থা রয়েছে তা আলোচনা এবং ভবিষ্যতে কি ধরনের প্রত্যাশা রয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার উপকারী বাহিনী সাইবার অপরাধ মনে কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে সে বিষয়েও বলা হয়েছে।

আশাকরি উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি কি কি।

শেষ কথা:সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় - সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি

পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় - সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় - সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কি কি সম্পর্কে জানতে পারলেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url