প্রবন্ধ রচনা একটি ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা - ট্রেন ভ্রমণ রচনা ২০ পয়েন্ট
ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করনীয় - মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করনীয় - মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করনীয় - মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
প্রবন্ধ রচনা একটি ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা - ট্রেন ভ্রমণ রচনা ২০ পয়েন্ট
এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করনীয় - মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।
ট্রেন ভ্রমণ রচনা ২০ পয়েন্ট
ভূমিকাঃ ভ্রমণ মানে আনন্দের। আর এই ভ্রমণ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। আর ভ্রমন থেকে অর্জিত হয় অপার আনন্দ এবং জ্ঞান।প্রকৃতপক্ষে ভ্রমণের ফলে মানুষের যেমন চিত্ত উৎফুল্ল হয় তেমনি অপার জ্ঞানের অধিকারীও হয়।
ভ্রমণঃ ভ্রমণ হলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে চলা। অর্থাৎ ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন জায়গায় বেড়ানো হচ্ছে ভ্রমণ। ভ্রমণের সাথে জড়িত আছে আনন্দ এবং অপার জ্ঞান। মানব জীবনে এই আনন্দ এবং জ্ঞান লাভের পিপাসা মেটায় এই ভ্রমণ।
ভ্রমণের উপায়ঃ স্থলপথ, জলপথ এবং আকাশপথ এই তিন পথে ভ্রমণ করা যায়। স্থলপথে বাস ভ্রমণ, সাইকেল ভ্রমণ, মোটরসাইকেল ভ্রমণ, ট্যাক্সি ভ্রমণ ইত্যাদি করা যায়। তবে দীর্ঘপথে ক্লান্তিহীন ভ্রমণের জন্য ট্রেন ভ্রমণ আরামদায়ক। এতে পথে অনেক স্টেশন থাকায় নানা ধরনের মানুষের সাথে ক্ষণিকের জন্য দেখা হয় এবং বিচিত্র পরিবেশ দেখা যায়।
ভ্রমণের স্থান নির্বাচনঃ ভ্রমণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই সাথে রয়েছে শারীরিক মানসিক এবং পারিবারিক অর্থ সচ্ছলতা। তার সঙ্গে আরো একটি বিষয় জড়িত আছে একা যাওয়া নাকি পরিবারের সঙ্গে যাওয়া। পরিবারের সবার সাথে গেলে কথা চিন্তা করে নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করা।
ভ্রমণের জন্য করণীয়ঃ ভ্রমণের জন্য প্রথমেই করণীয় হচ্ছে নিজেকে তৈরি করা মানসিক এবং শারীরিক ভাবে। নিজের মনকে স্থির করা যে ভ্রমণের জন্য। অতিরিক্ত আনন্দিত হয়ে উত্তেজনার বশে অনেকে অসুস্থ হয়ে যায়। তাই ভ্রমণের জন্য বেশি উত্তেজিত হওয়া শরীরের জন্য মোটেই ভালো না।
ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তাঃ ভ্রমণ মানে আনন্দ। আর মানুষ বাহ্যিকভাবে পারিবারিক এবং সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হলেও মুক্তভাবে থাকতে চাই। মানুষ চাই একঘেয়েমি থেকে বের হয়ে নিজেকে একটু আনন্দের মধ্যে রাখতে। নিজের মনকে সতেজ এবং উৎফুল্ল রাখতে।
ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতিঃ দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য বা ভ্রমণের জন্য কোথাও গেলে প্রথমত দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যেতে হবে যেমন শুকনা খাবার, খাবার স্যালাইন, প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম, টর্চ, পোশাক ইত্যাদি।
প্রথম ট্রেন ভ্রমণঃ পরীক্ষা শেষ তখন আমার বিদ্যালয় বন্ধ। ডিসেম্বর মাসের 4 তারিখে বাবা-মার সাথে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে পৌছালাম সকাল সাড়ে 8:00 টায়। সঙ্গে আমার বোন ছিল। গন্তব্যস্থান ছিল গ্রামের বাড়ি শেরপুর। আমার বাবা আগে টিকিট করেছিলেন। আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম ট্রেন আসার অপেক্ষায়। ট্রেনের নাম ছিল অগ্নিবীণা। ট্রেনটি আসার পর আমরা সুলভ শ্রেণীতে বসলাম।
ট্রেনের ভিতরের মুহূর্তঃ বাবা আমাকে বলেছিলেন সুলভ শ্রেণীতে বসলে বিভিন্ন ধরনের মানুষের দেখা মেলে। সত্যি তাই দেখলাম। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত নানা ধরনের নারী-পুরুষ সেইসঙ্গে শিশুরাও আছে। দুজনের আসনে তিন থেকে চারজনক অনেক কষ্ট করে বসে আছে। ট্রেনের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রেতারা আসছে। এর মধ্যে কিছু খাবার হলো চানাচুর, বাদাম, ঝাল মুড়ি, পাউরুটি ইত্যাদি। এরই মধ্যে ট্রেন ধীরে ধীরে তার গতিপথ বৃদ্ধি করতে লাগলো।
ট্রেনের খাবারঃ ট্রেনের ভেতরে অনেক ধরনের খাবার এবং সেই সাথে আরো জিনিসপত্র কিনতে পাওয়া যায়। আবার অনেকে আছে চটি বই এবং হাদিসী বই বিক্রি করেন। খাবারের মধ্যে আছে পাউরুটি কলা, বিস্কিট, চানাচুর, বাদাম ইত্যাদি।
রেল স্টেশনঃ আমি ইতিমধ্যে জানালার ধারে গিয়ে বসেছে। আমার বোন আর আমি মুখোমুখি। আর বাবা-মা আমাদের পাশে বসে আছে। দেখলাম ট্রেন ঢাকা তেজগাঁও, ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর ইত্যাদি স্টেশনে খানিকক্ষণ থামল। ইস্টেশন অপেক্ষা পরে মানুষজন খুব দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়লো। হাতে ছিল ব্যাগ কারও কোলে ছিল বাচ্চা। ট্রেনে উঠে তাদের ব্যস্ততা কিছুটা কমে গেল এবং যে যার মতো আসন খুঁজে নিয়ে বসে পড়ল।
বাইরের দৃশ্যঃ জানালার ধারে বসে আছে মনে হচ্ছে গাছপালা, মাঠ ঘাট দৌড়াচ্ছে। কয়েকটা পাখি আমাদের সাথে উঠছিল আবার পিছনে পড়ে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছে সারা পৃথিবী যেন ঘুরছে আর আমরা স্থির বসে আছি। জানালার ধারে বাতাসের গতিবেগ এত বেশি যে আমার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে। একটু খেয়াল করতে দেখতে পেলাম বাবা বই হাতে বসে আছে আর মা চোখ বুজে আছেন।
দর্শনীয় স্থানঃ ট্রেন ভ্রমণের প্রথমে চোখে পড়লো কমলাপুর রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্ম যেটি অনেক দীর্ঘতম । তেজগাঁও আসার আগে দূর থেকে দেখতে পেলাম ঢাকার চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বা এফডিসি। ভাওয়ালের জমির উপর দিয়ে জয়দেবপুর যাওয়ার আগে চোখে পড়ল ঢাকা বিমানবন্দর।
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুরে যমুনা সার কারখানা ছাড়াও আরো অনেক কিছু চোখে পড়ল।
গন্তব্যে পৌঁছাবার মুহূর্তঃ ট্রেন থেকে নামার আগে যে যার মত হাতে ব্যাগ নিয়ে নিলাম। বাবা হাতে বড় করে। সন্তানটি লাল জামা পরা কলিরা চলে আসলো। বাবা তাদেরকে ব্যাগগুলো দিল নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি পর্যন্ত।
উপসংহারঃ ট্রেন সুমন না করলে জীবনের বিরাট অভিজ্ঞতা এবং আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতাম। বিচিত্র মানুষের সঙ্গে পরিচয়, নানা স্থান অবলোকন, বিভিন্ন স্থাপনা দর্শন ইত্যাদি বিষয়গুলো আমার খুব ভালো লাগে। সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ আমার মনকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। ট্রেন ভ্রমণের এই 7 ঘণ্টা আমার জীবনে স্মৃতির পাতায় গাঁথা থাকবে।
প্রবন্ধ রচনা একটি ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা
ভূমিকাঃ আমাদের এই পৃথিবী প্রকৃতির একটি লীলাভূমি। আমাদের পৃথিবীতে যতগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে তার মধ্যে ঝড় অন্যতম। একজন মানুষ তার জীবনের নানা ধরনের অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হয়। আমার জীবনেও এমন একটি রাত এসেছে যা আমার হৃদয়ে এখনো তার কেটে আছে। যদিও মানুষ সবসময় সব কথা মনে রাখতে পারে না তারপরও আমার কাছে এই রাতটি সারা জীবন মনে থাকবে।
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ঝড়কে ভয় পায়। প্রাচীনকালে মানুষ ঝড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপাসনা ও করেছে। ঝড়ের কবর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অবলম্বন করেছে বিভিন্ন উপায়। ঝড়ের মধ্যে আমরা কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব লীলা দেখেছি এবং আশ্বিন মাসের ঝড় ও দেখেছি। যখন ঝড় আসে মানুষ তার সামনে পড়লে নিরুপায় হয়ে যায়। তখন আশ্রয় খোঁজে নিরাপদ স্থানে।
এই শক্তিশালী ঝড়ের সামনে সবকিছু যেন মূল্যহীন হয়ে যায়। প্রকৃতি তাকে মনে করে একেবারে তুচ্ছ। বর্তমান সময়ে যদি ও বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মানুষের পক্ষে অনেক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। তবে ঝড়ের প্রতিরোধ করা না গেলেও ঝড়ের ধ্বংসাত্মক তাণ্ডব লীলা থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে। তেমনি একটি ঝড় সম্প্রতি আমার জীবনে এসেছিল আর এই ঝড় আমার জীবনের গতি প্রকৃতিকে করেছে ওলট পালট।
ঝড়ের পূর্ব মুহূর্তঃ সেদিন ঝড় এসেছিল সে দিনের শুরুটা হয়েছিল অত্যন্ত সুন্দর। আকাশ ছিল নীল মেঘে আচ্ছন্ন। প্রখর রোদের সাথে বই ছিল ঝিরঝিরি বাতাস। হঠাৎ করে তখন আকাশ কালো মেঘের ছেয়ে গেল। সন্ধ্যার উত্তর-পশ্চিম আকাশ কোনে কালো মেঘের চেয়ে মানুষকে অবাক করে দিলো। রেডিও টিভি থেকে ঘোষণা এলো বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই নিম্নচাপ ঝড়ের আকার ধারণ করেছে এবং উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।
প্রতিবার ঝড়ের পূর্ব মুহূর্তে প্রকৃতি যেন ঘোমটা হয়ে থাকে কিন্তু এবার পুরোপুরি আলাদা। গাছপালা, লতা পাতা এমনকি আকাশ ও নিস্তব্ধ। গাছের একটি পাতাও যেন নড়ে না। এমনকি সন্ধান নিরে হেরা পাখি গুলো যেন নিস্তব্ধ হয়ে আছে। এদিকে রেডিও টেলিভিশন থেকে বিপদ সংকেত দেওয়া হলো 10 নম্বর।
চারিদিক থেকে এলাউন্স শুরু হলো সবাই যেন সাবধানে থাকে। সবার বুক যেন দূর দূর করে কাঁদতে শুরু করল। যে কোন মুহূর্তে একটি ভয়াবহ বিপদ আছে পড়তে পারে। সবাই আশংকার প্রহর গুনতে শুরু করলো। কোথাও কোন শব্দ নেই নিস্তব্ধ। মাঝে মাঝে বাতাসের শন শন শব্দ শোনা যায় শুধু।
ঝড়ের পূর্বাভাসঃ সন্ধান আনতে না নামতে রেডিওথেকে ঘোষণা শুরু হল বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ করেই শোনা গেল ঝড়ের বুলেটিন বিপদ সংকেত ১ নম্বর থেকে ১০ নাম্বারে দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। তবে সাগরের ফলে যে ঘূর্ণিঝড় তা শুধু সাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে এমনটি নয়, এটি দেশের বিভিন্ন স্থানেও আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।
ভয় সবার বুক দূর দূর করে কাঁপতে লাগলো। যেকোনো মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। রেডিওতে শুনতে পেলাম আম্ফান নামের ঘূর্ণিঝড় টি উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। সেখান থেকেই বুঝতে পারলাম পূর্বে যতগুলো ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহ। সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে নিল ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব লীলা দেখার জন্য।
ঝড়ের তান্ডব লীলাঃ রাত শুরু হতে না হতেই হঠাৎ করে শুনতে পেলাম বাতাসের শনশন শব্দ। বাতাস সাগরের উত্তাল তরঙ্গের মতো শব্দ করে চতুর্দিকে অন্ধকার হয়ে গেল। দূর থেকে বয়ে আসা বাতাসগুলো তীব্র থেকে তীব্রতর হতে লাগলো। আগে থেকে বন্ধ করা হয়েছিল জানালা গুলো কিন্তু বাতাসের তীব্রতায় জানালায় ঝনঝন শব্দ হচ্ছিল। কিছু ক্ষণের মধ্যে বাতাসের সাথে শুরু হয়ে গেল প্রচন্ড বৃষ্টি। সময় যত গড়াতে লাগল বাতাসের বেগ তত বৃদ্ধি পেতে থাকলো।
একের পর এক বজ্রপাতের বিকট আওয়াজ আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকানিতে যেন মনে হচ্ছিল যেন মহাপ্রলয় এসে গেছে। মানুষের চিৎকার আর আযানের ধ্বনি শুনে শরীরে যেন কাঁপন শুরু করল। ঘরের জানালা দিয়ে বন্যার পানির মত হুড়মুড় করে ঢুকছে মাতাল হাওয়া আর বাতাসের সাথে ঢুকছে সব ধুলোবালি। জানালার কপাটগুলো ঝড়ের তাণ্ডবে একবার খুলে যাচ্ছে আবার বন্ধ হচ্ছে।
সবকিছু তছনছ লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে আম্ফান ঝড়। বাহিরে বইছে সীমাহীন বজ্র। কালো মেঘের অন্ধকার হাওয়ায় গাছপালাগুলো মাতামাতি করছে। আমাদের ঘরের পাশের আম গাছটি মর্মর করে ভেঙে পড়ে গেল।আমরা ভয়ে সবাই চিৎকার করে উঠলাম। জানালা খুলে একটু উঁকি মেরে দেখলাম আমাদের রান্নাঘর এবং বসার ঘরের চাল উড়ে গেছে।
মনে হচ্ছে পৃথিবীর যত অন্ধকার রয়েছে সব আমাদেরকে যেন ঘিরে ধরেছে।। বিদ্যুৎ নিয়ে সেই ঝড় শুরু হওয়ার আগে। ঘরে একটি হারকিন জ্বলছে তাও আবার হাঁড়ির মধ্যে। কারণ বাতাসের প্রবল বেগ হয় হারকিন যেন নিভে না যায় তার ভয়ে। অনেক আগ্রহ নিয়ে দরজা খুলে বাহিরে বের হলাম। কিন্তু ঝড়ো হওয়া আমাকে মনে হয় অন্ধকারে হারিয়ে নিল।
রাত যত গভীর হলো সমুদ্র তত ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলো। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় 235 কেএম ছিল এবং সেই সাথে জলোস্বাস 30 থেকে 40 ফুট উপরে। আর তার সাথে তো আছে আগুনের মত বৃষ্টি।ঝড় চলাকালীন একপর্যায়েঃঝড় চলাকালীন একপর্যায়ে মানুষের আর্তনাদ শোনা যায় বাঁচাও বাঁচাও। এ আর্তনাদ শুনে আমরা কেউ স্থির থাকতে পারলাম। দোতলায় গিয়ে জানালা খুলে দেখি8 থেকে 10 ফুট নিচে শহর তলিয়ে গেছে।মানুষ সাঁতার কেটে এগিয়ে আসতে বাঁচার জন্য।
আমরা তাদেরকে সাহায্য করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কিছু ক্ষণের মধ্যে আমাদের ঘর ভর্তি হয়ে গেল মানুষে। আমরা সারারাত ঘুমাতে পারলাম না। ব্যস্ততা আর অস্থিরতার মধ্য দিয়ে কেটে গেল সারারাত। সে সময় হঠাৎ শুনতে পেলাম ইলেকট্রিকের ট্রান্সফর্মারতার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সার্কিট হচ্ছে। এদিকে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখলাম কোন নেটওয়ার্ক নেই। কাউকে ফোন দিও সাহায্য চাইতে পারবো না।
নিদ্রাহীন রাত্রিঃঝড়ের রাত টুকু আমাদের কাছে অভিশাপ মনে হলো। কেউ সারারাত দু চোখের পাতায় এক জায়গায় করতে পারিনি। সকালে আমরা সূর্য দেখতে পারব কিনা তাও জানিনা। সবাই যে যার মত আতঙ্কে রাত পার করলাম।
ঝড় পরবর্তী অনুভূতিঃ মধ্যরাতের দিকে ঝড় থামলেও তবুও মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছিলো। চারিদিক থেকে ভেসে আসতে লাগল মানুষের কান্না।কিন্তু সাহস হলো না বাহিরে বের হওয়ার। ধ্বংসের তান্ডবের মেতে উঠেছে গোটা এলাকা।মনে হচ্ছে সমস্ত এলাকা যেন পরিণত হয়েছে মহাশ্মশান। কত বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, গাছপালা ভেঙে গেছে তার কোন হিসাব নেই।
ঝড়ের দাপটে গ্রামের সকল বাড়িঘর গুলো বিধ্বস্ত হয়েছে। সকল মানুষ এখন বিপর্যস্ত। শুনতে পেলাম আশ্রয়হীন মানুষের জন্য নিকটবর্তী স্কুল গুলোতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাই মিলে চলে গেলাম সেখানে। আমাদের সমস্ত রাত্রি কাটল উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগের মধ্য দিয়ে।
পরের দিন সকালের চিত্রঃ ভোর হতে না হতেই আমরা বেরিয়ে পড়লাম রাস্তায়। সীমাহীন মেঘমুক্ত নীল আকাশ। প্রকৃতি যেন নিস্তব্ধ হয়ে আছে।
গাছপালা আর ঘরবাড়ির নিচে কত মানুষের দেহ চাঁপা পড়ে আছে।আর এসব কিছু দেখে মানুষের চোখ পানিতে ছল ছল করছে। এসব কিছু দেখে আমার দুচোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ে যাচ্ছে আর মনের অজান্তেই ধ্বনিত হচ্ছে গানের সুর, আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার। চারিদিক যেন স্তব্ধ হয়ে আছে সজন হারানো বেদনায়।
উপসংহারঃ আমাদের সকলের উপর দিয়ে সেদিন রাতে যে দুর্যোগের মেঘ বয়ে গিয়েছিল তা ভাষায় বর্ণনা করা সত্যিই অসম্ভব। এমন ঝড়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার এর আগে কখনো হয়নি। এই ভয়াবহ ধ্বংসলীলা আর বীভৎস মৃত্যুর দৃশ্য আমি কখনো ভুলব না, এটা ভুলার কথাও নয়। এই বীভৎস পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পেতে মানুষের সময় লাগবে অনেক দিন। এই আম্ফান ঝড় যেন আমাদের আরও একবার বুঝিয়ে দিয়ে গেল প্রকৃতির ইচ্ছার কাছে আমরা কতখানি তুচ্ছ এবং কতখানি অসহায়।
গ্ৰামে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনাঃ
ভূমিকাঃ বাংলাদেশের প্রাণ তার প্রাচীন শস্য শ্যামলা,নদী দিয়ে ঘেরা এদেশেরএদেশের যদি সঠিক জীবনযাপন অনুভব করতে চাও তাহলে শহরের বিচ্ছিন্ন জীবন থেকে বেরিয়ে গ্রামের প্রমাণ করতে পারো।
আমার গ্রাম দেখাঃ গতবছর মায়ের সাথে গিয়েছিলাম হুগলি জেলার সপ্তগ্রাম আমার খালার বাড়িতে।সেই প্রথম আমার গ্রামে যাওয়া।গ্রামটিতে এক সহজ সরল ও মধুর জীবনে এসে পড়েছি। সত্যিই মনে হলো পল্লী বা গ্রাম যেন আমাদের মা।এ যেন তার সন্তানের মতো করে মানুষজনকে প্রতিপালন করছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ গ্রামের ছোট ছোট ঘর গুলো গাছগাছালিতে ঘেরা।গ্রামের রাঙ্গা আঁকাবাঁকা পথ চলেছি গ্রামের পর গ্রাম তারপর মিশেছে শহরের সাথে। ফাঁকা মাঠ, সবুজ গাছপালা, বিরাট আকাশ, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত। গ্রামের সকালটি বড়ই মধুর এবং সন্ধ্যার সময় ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ। বৈদ্যুতিক আলোয় উজ্জ্বল পরিবেশের কথা মনে পড়লগ্রামের পরিবেশ ঠিকানা বড়ই শান্তির। এছাড়াও গ্রামে পাওয়া যায় টাটকা ফলমূল, শাকসবজি এবং সবুজ ধানক্ষেত।
গ্রামের উৎসবঃ গ্রামে সারাবছর উৎসব লেগেই থাকে।গ্রামের উৎসব বলে অনুভব করা যায় কিন্তু শহরে ও কোন উৎসব অনুভব করতে পারি না।এছাড়াও বৈশাখ মাসে বৈশাখী মেলা বসে। যেখানে গ্রামের মানুষ অনেক আনন্দ করে।
উপসংহার মার ডাকে আমার চেতনা ফিরলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার ফিরে যেতে হবে। আমার শুধুই মনে হচ্ছে এই প্রকৃতি এত সুন্দর হয়েছে মানুষের আধিপত্য ঘটেনি বলে। ফিরে আসার সময় গ্রামের সুনিবিড় পরিবেশের টান মনকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল।মনে পড়ছিল সেখানকার মানুষের আন্তরিকতার কথা।
শেষ কথা:প্রবন্ধ রচনা একটি ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা - ট্রেন ভ্রমণ রচনা ২০ পয়েন্ট
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা প্রবন্ধ রচনা একটি ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা - ট্রেন ভ্রমণ রচনা ২০ পয়েন্ট জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না প্রবন্ধ রচনা একটি ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা - ট্রেন ভ্রমণ রচনা ২০ পয়েন্ট সম্পর্কে জানতে পরলেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url