অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি - প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার

অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি - প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি - প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি - প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি - প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার

এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি - প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।

অটিজম শিশুদের চিকিৎসা পদ্ধতি 

অটিজম শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত শিশুর ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও সমস্যার উপর নির্ভর করে। নিচে কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো :

বিহেভিয়ারাল থেরাপি :
* এই পদ্ধতিতে শিশুদের স্বাভাবিক সামাজিক এবং যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সাহায্য করা হয়।
* অ্যাপ্লাইড বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি, যা শিশুদের আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে শেখানো হয়।

 স্পিচ থেরাপি :
* অটিজম শিশুদের মধ্যে যারা যারা কথা বলতে পারে না বা স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে পারে না, তাদের জন্য এই থেরাপি প্রয়োজনীয়।

* এই থেরাপি ভাষার উন্নয়ন ও যোগাযোগের কৌশল শেখায়।

৩। অকুপেশনাল থেরাপি :
  • এই থেরাপি শিশুকে দৈনন্দিন কাজ করতে সহায়তা করে, যেমন খাওয়া, পোশাক পরা ইত্যাদি।
  • এটি শিশুর সেন্সরি প্রক্রিয়াজাতকরণ উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হয়।
৪। শিক্ষামূলক থেরাপি :
  • বিশেষভাবে তৈরি শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম শিশুদের শিক্ষামূলক দক্ষতা ও সামাজিক কার্যকলাপের উন্নয়নের সহায়তা করে।
  • আইইপি এর মাধ্যমে শিশুদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা দেওয়া হয়।
ঔষধের চিকিৎসা 

* অটিজমের লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু ঔষধ দেওয়া হয়। যেমন : মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, অস্বাভাবিক আচরণ বা উদ্বেগের চিকিৎসা।

৬। সামাজিক দক্ষতা থেরাপি :
  • এই থেরাপি সামাজিক পরিস্থিতিতে কিভাবে যোগাযোগ করতে হয়, তা শেখানোর উপর জোর দেয়।
  • এটি বন্ধুত্ব গঠন এবং সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করে।
৭। সেন্সরি ইন্টিগ্রেশন থেরাপি :
  • অটিজম শিশুদের মধ্যে যারা অতি সংবেদনশীল বা সংবেদনশীলতায় সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই থেরাপি ব্যবহৃত হয়।
  • এটি সেন্সরি প্রক্রিয়াজাতকরণে সহায়তা করে।
এই চিকিৎসা গুলো একা বা একাধিক থেরাপির সংমিশ্রণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে শিশুর ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার 

প্রাইমারি অটিজম (primary Autism), যেটি অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (ASD) নামে পরিচিতি, শিশুদের মধ্যে দেখা দেয় এবং সাধারণত ৩ বছর বয়সের মধ্যে লক্ষণ গুলি প্রকাশ পায়। অটিজমের লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায় গুলি নিচে আলোচনা করা হলো :

অটিজমের লক্ষণ :

সামাজিক যোগাযোগের সমস্যা :
* চোখের দিকে তাকাতে অক্ষমতা।
* কথা বলার সময় অন্যদের সাথে সংযোগ করতে অক্ষমতা।
* নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেওয়া।
* অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করতে আগ্রহ না থাকা।

বিহেভিয়ারাল বৈশিষ্ট্য :
* একই কাজ বারবার করা ( repetitive behaviours), যেমন হাত নাড়ানো মাথা ঘোরানো।
* পরিবর্তনের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীল ( sensitivity to changes)।
* নির্দিষ্ট কাজ বা খেলায় অতিরিক্ত আগ্রহ দেখানো।

ভাষা ও যোগাযোগের সমস্যা :
* ভাষা বিকাশে দেরি।
* কথা বলার জন্য অদ্ভুত ভঙ্গি বা টোন ব্যবহার করা।
* একই শব্দ বা বাক্য বারবার বলা।

সংবেদনশীলতা :
* আলো, শব্দ বা স্পর্শের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীল।
* তাপমাত্রা বা নির্দিষ্ট টেক্সচারের প্রতি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।

অটিজমের প্রতিকার :
অটিজমের প্রতিকার বলতে সম্পন্ন সুস্থ করে তোলা বোঝায় না, বরং উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণ ও শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করা হয়। নিম্নে লিখিত পদ্ধতিগুলো কার্যকর হতে পারে :

বিহেভিয়ার থেরাপি :
* এপ্লাইড বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস এর মাধ্যমে শিশুর আচরণ ও যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ানো হয়।

বক্তৃতা থেরাপি :
* শিশুর ভাষাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য স্পিচ থেরাপি প্রযোজ্য হতে পারে।

শিক্ষা ও সমর্থন :
* বিশেষ শিক্ষা প্রোগ্রাম এবং ইনক্লুসিভ ক্লাস রুমের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষার সুযোগ দেওয়া।
* পরিবার ও অভিভাবকদের শিক্ষিত করা যাতে তারা শিশুদের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারেন।

ঔষধ :
* অটিজমের কিছু উপসর্গ যেমন উদ্বেগ, অবসাদ, হাইপারঅ্যাকটিভিটি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রয়োগ করা যেতে পারে।

সেন্সরি ইন্টিগ্রেশন থেরাপি :
* শিশুদের সংবেদনশীলতা উন্নয়নের জন্য সেন্সরি ইন্টিগ্রেশন থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রাথমিকভাবে অটিজমের লক্ষণগুলো লক্ষ্য করা গেলে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত, যাতে শিশুদের যথাযথ সহায়তা ও থেরাপি দেওয়া যায়।

অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি 

অটিজম শিশুদের জন্য শিক্ষা পদ্ধতি সাধারণ শিক্ষা পদ্ধতি থেকে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। এই শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করা হয়, যা তাদের প্রয়োজন ও সক্ষমতার সাথে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো :

প্রয়োজনভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি :
অটিজম শিশুদের জন্য শিক্ষার লক্ষ্য হলো তাদের ব্যক্তিগত দক্ষতা ও প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাদান করা। প্রতিটি শিশুর জন্য আলাদা আলাদা শিক্ষাদান পদ্ধতি তৈরি করা হয়।

ভিজুয়াল সাপোর্টস :
অটিজম শিশুরা সাধারণত ভিজুয়াল শিক্ষার মাধ্যমে ভালো শিখতে পারে। ছবি, ডায়াগ্রাম, ভিডিও ইত্যাদি তাদের শেখার প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।

অ্যাপ্লায়েড বিহেভিয়ার অ্যানালিসিস :
এটি একটি প্রমাণিত কৌশল যা শিশুদের পছন্দসই আচরণ এবং সামাজিক দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করে।

TEACCH পদ্ধতি :
এটি একটি স্ট্রাকচার্ড শিক্ষা পদ্ধতি যা অটিজম শিশুদের সঠিক সময়ানুবর্তিতা এবং কার্যক্রম সম্পাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

স্পিচ থেরাপি এবং ভাষা উন্নয়ন :
অনেক অটিজম শিশুদের ভাষাগত সমস্যা থাকে। স্পিচ থেরাপি তাদের ভাষার দক্ষতা উন্নয়নের সাহায্য করে।

ইন্টিগ্রেটেড প্লে থেরাপি :
খেলার মাধ্যমে শেখার পদ্ধতি, যা অটিজম শিশুদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং শারীরিক উন্নয়নকে উন্নত করেছে।

ইন্ডিভিজুয়াল এডুকেশন প্রোগ্রাম :
এটি একটি ব্যক্তিগত শিক্ষা পরিকল্পনা যা প্রতিটি অটিজম শিশুর নির্দিষ্ট প্রয়োজন এবং লক্ষ্য অনুযায়ী তৈরি করা হয়। এতে শিশুর জন্য নির্ধারিত লক্ষ্য, কৌশল এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার বিবরণ দেওয়া থাকে।

অকুপেশনাল থেরাপি :
এই থেরাপি শিশুদের দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রমের দক্ষতা অর্জনের সহায়তা করে। এটি তাদের মোটা ও সূক্ষ্ম মোটর স্কিল উন্নয়নে সহায়তা করে।

সামাজিক গল্প এবং সামাজিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ :
অটিজম শিশুরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সমস্যায় পড়ে। সামাজিক গল্প রোল-প্লেয়িং এর মাধ্যমে তাদের সামাজিক দক্ষতা ও আচরণিক বোঝাপড়া বাড়ানো যায়।

পারিবারিক অংশগ্রহণ :
পরিবারের সক্রিয় অংশগ্রহণ শিশুদের শেখার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবারের সদস্যদের শিশুদের শেখার পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে তারা সহজেই উন্নতি করতে পারে।

পজিটিভ রিইনফোর্সমেন্ট :
ইতিবাচক আচরণের প্রশংসা বা পুরস্কার প্রদান শিশুদের শেখার আগ্রহ বাড়াতে পারে। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস এবং শেখার উৎসাহ বাড়ায়।

সামাজিক ইন্টারঅ্যাকশন গেম :
বিভিন্ন গেম বা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া শেখানো যায়। এটি তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং দলের কাছে অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করে।

রিলাক্সেশন টেকনিক :
রিলাক্সেশন বা রিল্যাক্সেশন টেকনিক যেমন ডিপ ব্রিদিং, মেডিটেশন বা মিউজিক থেরাপি ব্যবহার করে শিশুদের উদ্বেগ ও উত্তেজনা কমানো যেতে পারে।

অটিজম শিশুদের শিক্ষার জন্য ধৈর্য, বোঝাপড়া এবং সঠিক কৌশলের প্রয়োগ প্রয়োজন। শিক্ষকদের এবং অভিভাবকদের উচিত এই শিশুদের প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাদানের পদ্ধতি এবং কৌশল গুলো প্রয়োগ করা, যাকে তারা সফলভাবে শেখার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং তাদের সম্পূর্ণ সামর্থ্য অনুযায়ী বিকাশিত হতে পারে।

অটিজম কি ধরনের সমস্যা 

অটিজম একটি স্নায়ুবিক এবং বিকাশগত সমস্যা যা সাধারণত শিশুকালে ধরা পড়ে এবং জীবনভর স্থায়ী থাকে। অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার নামে পরিচিত। এটি সামাজিক যোগাযোগ, ভাষাগত দক্ষতা এবং আচরণে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে।

অটিজমের লক্ষণ গুলি একেকজনের মধ্যে একেক ভাবে প্রকাশ পেতে পারে, তবে সাধারণ লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে :
  • সামাজিক যোগাযোগের সমস্যা
  • সীমিত এবং পুনরাবৃত্তি মূলক আচরণ
  • একা থাকতে পছন্দ করা এবং অন্যদের সাথে সংযোগ করতে না পারা
  •  ভাষাগত ও অ-বাচিক যোগাযোগের সমস্যা
অটিজম সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো :

অটিজমের ধরন :

অটিজমকে একটি স্পেকট্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি একাধিক ধরনের এবং মাত্রার মধ্যে হতে পারে।

* অ্যাসপারগার সিন্ড্রোম :

এটি অটিজম স্পেকট্রামের একটি অংশ, যেখানে সামাজিক যোগাযোগের সমস্যা থাকে। তবে বুদ্ধিমত্তা ও ভাষাগত দক্ষতা সাধারণত স্বাভাবিক থাকে।

* চাইল্ডহুড ডিজইন্টিগ্রেটিভ ডিসঅর্ডার :

এই ধরনের অটিজমে শিশুরা শৈশবের প্রথমদিকে স্বাভাবিকভাবে বিকাশ লাভ করে কিন্তু হঠাৎ করেই শিখে নেওয়া দক্ষতা গুলো হারাতে থাকে।

* পেরভেসিভ ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার :

এই ধরনের অটিজমে কিছু অটিজমের লক্ষণ থাকে, তবে সবগুলো উপস্থিত নাও থাকতে পারে।

অটিজমের কারণ :

অটিজমের নির্দিষ্ট কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে জেনেটিক এবং পরিবেশগত কারণগুলোর একটি সংমিশ্রণ অটিজমের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে :

* জেনেটিক প্রভাব : অটিজমের সাথে সম্পর্কিত কিছু জিন শনাক্ত করা হয়েছে।

* পরিবেশগত প্রভাব : গর্ভাবস্থায় সংক্রামক বা বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ অটিজমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং সঠিক সহায়তা প্রদান অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ও তাদের পরিবারগুলোর জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে।

অটিজম বলতে কি বুঝায় 

অটিজম হলো নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বা স্নায়ুবিকাশ জনিত ব্যাধি, যা মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশকে প্রভাবিত করে। এটি সাধারণত সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, ভাষা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা এবং পুনরাবৃত্তিমুলক বা সীমিত আচরণের মধ্যে প্রকাশ পায়। অটিজমের লক্ষণ গুলো সাধারণত শিশুর প্রথম তিন বছরের মধ্যেই দেখা দেয় এবং এটি সারা জীবন স্থায়ী থাকে।

অটিজম এর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে যার ফলে একে " স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার " বলা হয়। অর্থাৎ এটি বিভিন্ন মাত্রায় এবং বিভিন্নভাবে ব্যক্তির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তুমি আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছু মানুষের সাথে যোগাযোগ করা করা বা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া স্থাপন করতে অসুবিধা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই তারা বিশেষ দক্ষতা বা প্রতিভার অধিকারী হতে পারে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর :

১। প্রশ্ন : কিভাবে অটিজম নির্ণয় করা হয়?

উত্তর: অটিজম নির্ণয়ের জন্য পেশাদার চিকিৎসকরা বিভিন্ন আচরণগত পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। ডায়াগনস্টিক টুলস যেমন DSM-5 ব্যবহার করা হয়, যা সামাজিক যোগাযোগ ও পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণের উপর ভিত্তি করে রোগ নির্ণয় করতে সহায়তা করে।

২। প্রশ্ন : অটিজম কি সম্পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য?

উত্তর: অটিজমের কোন সম্পূর্ণরূপে নিরাময় নেই। তবে, সঠিক চিকিৎসা ও থেরাপির মাধ্যমে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব।

৩। প্রশ্ন :অটিজম কি বয়সের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়?

উত্তর: অটিজমের লক্ষণগুলো বয়সের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এই পরিবর্তনগুলি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হয়। সঠিক থেরাপি ও সহায়তার মাধ্যমে লক্ষণগুলোর উন্নতি ঘটানো যেতে পারে।

৪। প্রশ্ন : অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিভাবে সমাজে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে?

উত্তর: অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি উপযুক্ত থেরাপি, শিক্ষা এবং সমাজের সমর্থন পায়, তাহলে তারা সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। সমাজের সমর্থন এবং সচেতনতা তাদের জীবনের মান উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে।

৫। প্রশ্ন : অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কি সাধারন স্কুলে পড়তে পারে?

উত্তর : অনেক আক্রান্ত শিশু সাধারণ স্কুলে পড়াশোনা করতর পারে। তবে তাদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে। যেমন : বিশেষ শিক্ষকের সহায়তা।

শেষ কথা: অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি - প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার

পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি - প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না অটিজম শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি - প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পরলেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url